বিখ্যাত কবিদের কবিতা

কবির মুক্তি

মিলের খিল খুলে গেছে!
কিলবিল করছিল,​​ কাঁচুমাচু হয়েছিল –
​​ ​​ ​​​​ কেঁচোর মতন –
পেটের পাঁকে কথার কাতুকুতু!
কথা কি ‘কথক’ নাচ নাচবে
​​ ​​ ​​​​ চৌতালে ধামারে?
তালতলা দিয়ে যেতে হলে
কথাকে যেতে হয় কুঁতিয়ে কুঁতিয়ে
​​​​ তালের বাধাকে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে!
​​​​ এই যাঃ! মিল হয়ে গেল!
​​​​ ও তাল-তলার কেরদানি – দুত্তোর!
মুরগিছানার চিলের মতন
টেকো মাথায় ঢিলের মতন
​​​​ পড়বে এইবার কথার বাণ্ডিল।
ছন্দ এবার কন্ধকাটা পাঁঠার মতন ছটফটাবে।
লটপটাবে লুচির লেচির আটার মতন!
অক্ষর আর যক্ষর টাকা গোনার মতো
​​​​ গুনতে হবে না –
​​​​
অঙ্কলক্ষ্মীর ভয়ে কাব্যলক্ষ্মী থাকতেন
​​ ​​​​ কুঁকড়োর মতন কুঁকড়ে!
ভাবতেন,​​ মিলের চিল কখন দেবে ঠুকরে!
​​ ​​​​ আবার মিল!–
​​​​ গঙ্গার দু-ধারে অনেক মিল,
কটন মিল,​​ জুট মিল,​​ পেপার মিল –
​​​​ মিলের অভাব কী?
কাব্যলোকে মিল থাকবে কেন?
ওকে ধুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দাও!
​​​​ ওখানেও যে মিল আছে!
ধুলো যদি কুলোয় যায় চুলোয় যায়,
হুলো ভুলোয় যদি ল্যাজে মাখে!
​​​​ ল্যাজ কেটে বেঁড়ে করে দেব!
​​​​ এঁড়ে দামড়া আছে যে!
আমার মিল আসছে! – মুশকিল আসান।
অঙ্কলক্ষ্মীকে মানা করেছিলাম,
​​ ​​ ​​​​ মিলের শাড়ি কিনতে।
অঙ্কলক্ষ্মীর জ্বালায় পঙ্কলক্ষ্মী পদ্ম
​​ ​​ ​​​​ আর ফোটে না!
​​​​ তা বলতে গেলে লঙ্কাকাণ্ড বেধে যাবে।
এ কবিতা যদি পড়ে
​​​​ গায়ে ধানি লংকা ঘষে দেবে! –
আজ যে বিনা প্রয়াসেই অনুপ্রাসের
​​ ​​ ​​​​ পাল পেয়েছি দেখছি!
মিল আসছে – যেন মিলানের মেলায়
​​ ​​ ​​​​ মেমের ভিড়!
​​​​ নাঃ! – কবিতা লিখি।
তাকে দেখেছিলাম – আমার মানসীকে
​​​​ ভেটকি মাছের মতো চেহারা!
আমাকে উড়ে বেহারা মনে করেছিল!
​​ ​​ ​​​​ শাড়ির সঙ্গে যেন তার আড়ি।
​​ ​​ ​​​​ কাঁখে হাঁড়ি – মাথায় ধামা।
​​ ​​ ​​​​ জামা ব্লাউজ শেমিজ পরে না।
দরকার বা কি?
​​ ​​ ​​​​ তরকারি বেচে!
​​​​ সরকারি ষাঁড়ের মতন নাদুস-নুদুস!
​​ ​​ ​​​​ চিচিঙ্গের মতন বেণি দুলছিল।
সে যে-দেশের,​​ সে-দেশে আঁচলের চল নাই!
​​ ​​ ​​​​ চলেন গজ-গমনে।
​​​​ পায়ে আলতা নাই,​​ চালতার রং।
​​ ​​ ​​​​ নাম বললে – ‘আজুলি’
​​​​ আমি বললাম – ‘ধ্যেৎ,​​ তুমি কাজলি।’
হাতে চুড়ি নাই,
​​​​ তুড়ি দেয় আর মুড়ি খায়।
​​​​ গলায় হার নাই,​​ ব্যাগ আছে।
পায়ে গোদ,
​​​​ আমি বলি, ‘প্যাগোডা’ সুন্দরী!
​​​​ গান গাই, ‘ওগো মরমিয়া!’
ও ভুল শোনে! ও গায় –
​​ ​​ ​​​​ ‘ওগো বড়ো মিয়াঁ!’
​​​​ থাকত হাতে ‘এয়ার গান!’
ও গায় গেঁয়ো সুরে,​​ চাঁপা ফুল কেয়ার গান। –
দাঁতে মিশি,​​ মাঝে মাঝে পিসি বলতে ইচ্ছা করে।
ডাগর মেয়েরা আমাকে যে হাঙর ভাবে।
​​ ​​ ​​​​ হৃদয়ে বাঁকুড়ার দুর্ভিক্ষ!
​​​​ ভিক্ষা চাই না,​​ শিক্ষা দিয়ে দেবে।
​​​​ তাই ধরেছি রক্ষাকালীর চেড়িকে।
নেংটির আবার বকেয়া সেলাই!
​​​​ কবিতে লেখার মশলা পেলেই হল
​​​​ তা না-ই হল গরম মশলা। –
নাঃ,​​ ঘুম আসছে,
​​​​ রান্নাঘরের ধূম আসছে।
বউ বলে,​​ নাক বাজছে,
​​​​ না শাঁখ বাজছে।
আবার মিল আসছে –
​​​​ ঘুম আসছে –
দুম্বা ভেড়ার দুম আসছে!

কবির আরো কবিতা পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এটাও দেখুন
Close
Back to top button