বিখ্যাত কবিদের কবিতা

রক্তাম্বরধারিণী মা

রক্তাম্বর পর মা এবার
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ জ্বলে পুড়ে যাক শ্বেত বসন।
দেখি ঐ করে সাজে মা কেমন
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ বাজে তরবারি ঝনন-ঝন।
সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেল মা গো
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ জ্বাল সেথা জ্বাল কাল্-চিতা।
তোমার খড়গ-রক্ত হউক
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ স্রষ্টার বুকে লাল ফিতা।
এলোকেশে তব দুলুক ঝন্‌ঝা
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ কাল-বৈশাখী ভীম তুফান,
চরণ-আঘাতে উদ্গারে যেন
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ আহত বিশ্ব রক্ত-বান।
নিশ্বাসে তব পেঁজা-তুলো সম
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ উড়ে যাক মা গো এই ভুবন,
অ-সুরে নাশিতে হউক বিষ্ণু
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ চক্র মা তোর হেম-কাঁকন।
টুটি টপে মারো অত্যাচারে মা,
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ গল-হার হোক নীল ফাঁসি,
নয়নে তোমার ধূমকেতু-জ্বালা
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ উঠুক সরোষে উদ্ভাসি।
হাসো খলখল,​​ দাও করতালি,
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ বলো হর হর শঙ্কর!
আজ হতে মা গো অসহায় সম
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ ক্ষীণ ক্রন্দন সম্বর।
মেখলা ছিঁড়িয়া চাবুক করো মা,
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ সে চাবুক করো নভ-তড়িৎ,
জালিমের বুক বেয়ে খুন ঝরে
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ লালে-লাল হোক শ্বেত হরিৎ।
নিদ্রিত শিবে লাথি মারো আজ,
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ ভাঙো মা ভোলার ভাঙ-নেশা,
পিয়াও এবার অ-শিব গরল
​​ ​​ ​​ ​​​​ নীলের সঙ্গে লাল মেশা।
দেখা মা আবার দনুজ-দলনী
​​ ​​ ​​ ​​​​ অশিব-নাশিনী চণ্ডি রূপ;
দেখাও মা ঐ কল্যাণ-করই
​​ ​​ ​​ ​​​​ আনিতে পারে কি বিনাশ-স্তূপ।
শ্বেত শতদল-বাসিনী নয় আজ
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ রক্তাম্বরধারিণী মা,
ধ্বংসের বুকে হাসুক মা তোর
​​ ​​ ​​ ​​ ​​​​ সৃষ্টির নব পূর্ণিমা।

কবির আরো কবিতা পড়ুন

Leave a Reply

Back to top button