কবিতা

ঠ্যাং-ফুলি

হো-হো-হো উররো হো-হো!
হো-হো-হো উররো হো-হো
​​ ​​ ​​​​ উররো হো-হো
​​ ​​ ​​​​ বাস কী মজা!
কে শুয়ে চুপ সে ভুঁয়ে,
নারছে হাতে পাশ কী সোজা!
​​​​
হো-বাবা! ঠ্যাং ফুলো যে!
হাসে জোর ব্যাংগুলো সে
​​ ​​ ​​​​ ড্যাং তুলো তার
​​ ​​ ​​​​ ঠ্যাংটি দেখে!
ন্যাং ন্যাং য়্যাগগোদা ঠ্যাং
আঁতকে ওঠায় ডানপিটেকে!
এক ঠ্যাং তালপাতা তার
যেন বাঁট হালকা ছাতার!
​​ ​​ ​​​​ আর পাটা তার
​​ ​​ ​​​​ ভিটরে ডাগর!
যেন বাপ! গোবদা গো-সাপ
পেট-ফুলো হুস এক অজাগর!
​​​​
মোদোটার পিসশাশুড়ি
গোদ-ঠ্যাং চিপসে বুড়ি
​​ ​​ ​​​​ বিশ্ব জুড়ি
​​ ​​ ​​​​ খিসসা যাহার!
ঠে-ঠে ঠ্যাং নাক ডেঙা ডেং
এই মেয়ে কি শিষ্যা তাহার?
হাদে দেখ আসছে তেড়ে
গোদা-ঠ্যাং ছাঁতসে নেড়ে,
​​ ​​ ​​​​ হাসছে বেড়ে
​​ ​​ ​​​​ বউদি দেখে!
অ ফুলি! তুই যে শুলি
দ্যাখ না গিয়ে চৌদিকে কে!
বটু তুই জোর দে ভোঁ দৌড়,
রাখালে! ভাঙবে গোঁ তোর
​​ ​​ ​​​​ নাদনা গুঁতোর
​​ ​​ ​​​​ ভিটিম ভাটিম!
ধুমাধুম তাল ধুমাধুম
পৃষ্ঠে, -​​ মাথায় চাটিম চাটিম!
​​​​
‘ইতু’ মুখ ভ্যাংচে বলে –
গোদা ঠ্যাং ন্যাংচে চলে
​​ ​​ ​​​​ ব্যাং ছা যেন
​​ ​​ ​​​​ ইড়িং বিড়িং!
রাগে ওর ঠ্যাং নড়ে জোর
য়্যাদ্দেখেছিস – তিড়িং তিড়িং!
​​​​
মলিনা! অ খুকুনি!
মা গো! কী ধুকপুকুনি
​​ ​​ ​​​​ হাড়-শুগুনি
​​ ​​ ​​​​ ভয়-তরাসে!
দেখে ইস ভয়েই মরিস
ন্যাংনুলোটার পাঁইতারাকে।
গোদা-ঠ্যাং পুঁচকে মেয়ে
আসে জোর উঁচকে ধেয়ে
​​ ​​ ​​​​ কুঁচকে কপাল,
​​ ​​ ​​​​ ইস কী রগড়!
লেলিয়ে দে ঢেলিয়ে!
ফোঁস করে ফের! বিষ কী জবর!
ইন্দু! দৌড়ে যা না!
হাসি,​​ তুই বগ দেখা না!
​​ ​​ ​​​​ দগ্‌ধে না!
​​ ​​ ​​​​ তোল তাতিয়ে!
রেণু! বাস,​​ রেগেই ঠ্যাঙাস,
বউদি আসুন বোলতা নিয়ে!
​​​​
আর না খাপচি খেলো!
ওলো এ আচ্ছি যে লো,
​​ ​​ ​​​​ নাচছি তো খুব
​​ ​​ ​​​​ ঠ্যাং নিয়ে ওর!
ব্যাচারির হ্যাঁস-ফ্যাসানির
শেষ নেই,​​ মুখ ভ্যাংচিয়ে জোর!
​​​​
ধ্যাত! পা পিছলে যে সে
পড়ে তার বিষ লেগেছে
​​ ​​ ​​​​ ইস! পেকেছে
​​ ​​ ​​​​ বিষ-ফোঁড়া এক!
সে ব্যথায় ঠ্যাং ফুলে তাই
ঢাক হল পা-র পিঠ জোড়া দেখ!
​​​​
আচ্ছু! সত্যি সে শোন
কারুর এক রত্তি সে বোন,
​​ ​​ ​​​​ দোষ নেই এতে
​​ ​​ ​​​​ দোষ নিয়ো না!
আগে তোর ঠ্যাং ফুলে জোর,
তারপরে না দস্যিপনা!
​​​​
আয় ভাই আর না আড়ি,
ভাব কর কান্না ছাড়ি,
​​ ​​ ​​​​ ঘাড় না নাড়ি,
​​ ​​ ​​​​ কসনে ‘উহুঁ’!
লক্ষ্মী! ধ্যাত,​​ শোক কী?
ছিঁচ-কাঁদুনে হসনে হুঁ হুঁ!
উষাদের ঘর যাবিনে?
লাগে তোর লজ্জা দিনে?
​​ ​​ ​​​​ বজ্জাতি নে
​​ ​​ ​​​​ রাখ তুলে লো!
কেন?​​ ঠ্যাং তেড়েং বেড়েং?
হাসবে লোকে?​​ বয়েই গেল!

কবির আরো কবিতা পড়ুন

Leave a Reply

এটাও দেখুন
Close
Back to top button